এনসিএলে এনামুলের দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি

ওয়ালটন ১৯তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন এনামুল হক বিজয়। রংপুরের বিপক্ষে খেলেছিলেন ২১৬ রানের দারুণ ইনিংস। লিগের শেষ রাউন্ডেও দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিলেন বিজয়।

দ্বিতীয় রাউন্ডে নিজের প্রথম ম্যাচে ১৭৭ রানে আউট হয়ে ডাবল সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন খুলনার আরেক ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান। মেহেদীর সামনে ডাবলের সুযোগ থাকার পরও আবার ও ১৭৭ রানেই শরিফের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান তিনি।
বিকেএসপিতে দ্বিতীয় দিনে খুলনা তুলেছে ৩৪৭ রান, ঢাকা উইকেট নিতে পেরেছে মাত্র একটি! দিন শেষে খুলনার সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৩৭০। তৃতীয দিনে আবার ব্যাট করতে নামেন তারা।দিনের শুরুতে ডাবল সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও আউট হন মেহেদী হাসান।ফলে দলীয় ৪৮৪ রানে ভাঙ্গে তাদের ২৯৫ রানের পার্টনারশিপ।
দ্বিতীয় দিনে বিজয় ফিফটি পূর্ণ করেন ৪৭ বলে, মেহেদী ৫৪ বলে। ফিফটিকে চা বিরতির আগেই সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করেন বিজয়। ১২৭ বলে ১১ চার ও ৪ ছক্কায় স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তার ১৪তম সেঞ্চুরি।
চা বিরতির পর মেহেদী তুলে নেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার চতুর্থ সেঞ্চুরি। ২৩ বছর বয়সি এই ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১০৯ বলে, ১১ চার ও এক ছক্কায়। এরপর পূর্ণ হয় তাদের জুটির ডাবল সেঞ্চুরি।

দিনের শেষ ঘণ্টায় বিজয় দেড়শ পূর্ণ করেন ১৮৮ বলে, আর মেহেদী ১৪২ বলে। আলোকস্বল্পতায় দিনের খেলা শেষ হয়েছিল একটু আগেই।
তৃতীয় দিনের শুরুতে মেহেদী আউট হলেও বিজয় সে ভুল করেননি।২৫৩ বলে ২৩ চার ও ৪ ছক্কায় তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি।২০২ রানে অবশ্য শুভাগত হোমের বলে ইতোমধ্যে আউট হয়েছেন তিনি।
প্রথম স্তরের এই ম্যাচ ড্র করলেই এবারের জাতীয় লিগের শিরোপা জিতবে খুলনা। প্রথম দুই দিনে যা অবস্থা তাতে ঢাকা ইনিংস ব্যবধানে হারে কি না, কে জানে!

Comments

Popular posts from this blog

আর্জেন্টিনায় আসলে,তাদের খুজে পাওয়া যায়না।কিন্তু গোল তো অহরহ দিচ্ছে ক্লাব এ, জাতীয় দলে কি এমন সমস্যা?

কেমন ছিল এ পর্যন্ত তামিমের ওপেনিং সঙ্গীরা